আইসক্রিম জনপ্রিয় খাবার। গরমে এর চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। ছোট-বড় সবাই আইসক্রিম পছন্দ করে। ডেজার্ড হিসেবে আইসক্রিমের জুড়ি নেই। ঠান্ডা মিষ্টি স্বাদের এই খাবারে একবার কামড় দিলে আমাদের ইন্দ্রিয় সতেজ হয়ে ওঠে, দূর হয় ক্লান্তি। বাজারের বিভিন্ন কোম্পানীর আইসক্রিম পাওয়া যায়। যার মধ্যে অনেকে বাজে ক্যামিকেল, অস্বাস্থ্যকর রং মেশায়। পরিজনের জন্য কিছু সময় ব্যয় করে ঘরেই বানিয়ে ফেলতে পারেন আইসক্রিম। যা সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর।
কথ্য বাংলায় কুলফি নামে পরিচিত। এটি এক প্রকারের ডেজার্ট, যা বরফ ও চিনি এবং প্রধানত দুধের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়। ভুট্টার সিরাপ, চকলেট, ভ্যানিলা, বাদাম, বিভিন্ন ফলের রস দিয়ে আইসক্রিমের স্বাদ ও ধরনের ভিন্নতা আনা হয়।
আইসক্রিমের জন্মস্থান ও যেভাবে ছড়িয়েছে আইসক্রিম
আইসক্রিমের জন্মস্থান চীনে। মধ্যযুগের মঙ্গল দলপতি ও শাসক কুবলাই খানের লোকেরা ঠেলাগাড়ি করে জমাট দুধের খাবার বিক্রি করতো। ইতালীয় পর্যটক মার্কো পোলো খাবারটি খেয়ে পছন্দ করেন এবং এর কৌশল শিখে নেন। তিনিই এটি ইউরোপে আনেন। পরে এই খাবারটির নাম হয় আইসক্রিম। ১৫৩৩ সালে আইসক্রিম ইতালি থেকে প্রথম ফ্রান্সে আসে এবং সেখান থেকে পরে যায় ইংল্যান্ডে। এরপর আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আইসক্রিম ছড়িয়ে পড়ে। ১৯০০ সাল হতে আইসক্রিমের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি আইসক্রিম
৫টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ বা হাজার টাকার আইসক্রিমের কথা জানি। কখনো মনে প্রশ্ন জেগেছে সবচেয়ে দামি আইসক্রিমের নাম কী? জাপানি আইসক্রিম ব্র্যান্ড সেল্যাটো ‘বাইকুয়া’ নামের একটি আইসক্রিম এরইমধ্যে গিনেস কর্তৃক সবচেয়ে দামি আইসক্রিমের খেতাব পেয়েছে। এর দাম ৬ হাজার ৬৯৬ ডলার বা ৭ লাখ ১৮ হাজার টাকার বেশি (১ ডলার সমান ১০৭ টাকা ধরে)।
এতো দামের কারণ— আইসক্রিমটিতে খাওয়ার উপযোগী করে সোনার পাতা, সাদা ট্রাফল এবং প্রাকৃতিক চিজ ব্যবহার করা হয়েছে। আইসক্রিমে ব্যবহৃত সাদা ট্রাফলগুলো ইতালির আলবাতে জন্মায় এবং যার প্রতি কেজির মূল্য আনুমানিক ১৫ লাখ টাকার বেশি। আইসক্রিমে ব্যবহৃত অন্যান্য ব্যয়বহুল উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারমিগিয়ানো রেগিয়ানো পনির।
সেল্যাটো বলছে, ‘আইসক্রিমের সাদা ট্রাফলের শক্তিশালী সুগন্ধ আপনার মুখ ও নাককে ভরিয়ে দেয়, সঙ্গে রয়েছে পারমিগিয়ানো রেগিয়ানো পনিরের জটিল ও মনমাতানো ফলের স্বাদ’। আইসক্রিমটির সঠিক স্বাদ পেতে দেড় বছর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে বলেও জানিয়েছে কোম্পানিটি।

জন্ম কুমিল্লায়। আব্দুল্লাহেল মুহিত ও আঞ্জুমান নাহারের বড় ছেলে। কুমিল্লার জেলার দেবিদ্বার উপজেলার দুয়ারিয়া গ্রামে বাড়ি। গাছ-গাছালির ছায়ায়, লতাগুল্মের সাথে বড় হওয়া। পাখি ও ফড়িংয়ের পেছনে ছুটে আর ছিপ-নাটাই হাতে কেটেছে শৈশব। তবে কৈশোর কেটেছে নাগরিক শহর ঢাকায়। পড়ালেখার হাতেখড়ি মায়ের কাছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় ‘কুমিল্লা পলিটেকনিক্যাল কোয়ার্টার স্কুলে’। চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত নিজ গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে পড়া হয়। পরে পাশের গ্রামের মাদরাসায় পড়া শুরু। পাঠের শেষ হয় ঢাকায়। লেখালেখি শুরু ছড়া-কবিতা দিয়ে, তবে থিতু হওয়া গল্প-উপন্যাসে। অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও কাব্যচর্চা বাদ পড়েনি। ভিন্ন ভিন্ন লিটলম্যাগে লেখা প্রকাশ হলেও বনে-বাদাড়ে কিশোর দল প্রকাশিত প্রথম বই। আওয়ার ইসলাম নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সাব-এডিটর হিসেবে কাজ করা হয় পাঁচ বছর। চলমান সময়ে নতুন কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত সময় পার হচ্ছে।