আলেমা ঊর্মি বিনতে আবুল বাশার
প্রত্যেকটা মুসলমানের যাবতীয় কাজকর্মের প্রধান লক্ষ্য থাকা উচিত মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন এর সন্তুষ্টি অর্জন করা। ইবাদত বন্দেগী সহ যাবতীয় সকল কাজে আল্লাহকে খুশি রাখার নামই হচ্ছে ইখলাস।
ইখলাস হলো একনিষ্ট ব্যাক্তির ঢাল সরুপ , মুমিনের রূহ এবং তার রবের মধ্যকার গোপন সম্পর্ক। ইখলাস হচ্ছে মুসলিম উম্মাহর আমলের পরিপূর্ণতা ও সৌন্দর্যতা। যার কোনো তুলনা হয়না । ইখলাস মুমিনের হৃদয়কে এক আল্লাহর আনুগত্যের ক্ষেত্রে একনিষ্ঠ করে তোলে। ইখলাস তার মনকে অন্যান্য সকল চিন্তা ভাবনা থেকে দূরে রেখে এবং তাকে নিয়ে অন্যের মন্তব্য সমালোচনার প্রোটিনভ্রুক্ষেপ না করে তার রবের খুশির প্রতি পূর্ণ মনোযোগী করে তোলে। আল্লাহ তা’আলার কাছেই সে তার সকল প্রতিদান আশা করে এবং নিজ অন্তরে এই বিশ্বাস রাখে যে আল্লাহ ব্যতীত অন্যকিছু তার কাছে ধূলিকণার মর্যাদাও রাখে না। এই বিষয়ে রাসূল করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, [প্রত্যেক কাজ নিয়তের সাথে সম্পর্কিত। আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী ফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে দুনিয়া লাভের অথবা কোন নারীকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে, সেই উদ্দেশ্যই হবে তার হিজরতের প্রাপ্য (বোখারী হাদীস নং-১)
এছাড়াও ইখলাস হলো আমল ও ইবাদতের প্রাণ।
মোটকথা ইখলাসের সম্পর্ক হলো মুসলমানের অন্তরের সাথে।
আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত, নবী করীম (সা.) ইরশাদ করেছেন:[আল্লাহপাক তোমাদের শরীর ও অবয়বের দিকে তাকান না; বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও আমলের দিকে লক্ষ করেন ]•• (মুসলিম, হাদিস নং : ২৫৬৪)
সুতরাং ইখলাস বেতিত কোনো আমলই আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় নয়।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেছেন: ••{আপনি বলুন: আমার নামায, আমার কোরবাণী এবং আমার জীবন ও মরন বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে। তাঁর কোন অংশীদার নেই। আমি তাই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি প্রথম আনুগত্যশীল}••
[সূরা: আল আন’আম, আয়াত: ১৬২- ১৬৩]
আল্লাহ তা’আলা অন্যত্র আরো ইরশাদ করেছেন: ••{আমি আপনার প্রতি এ কিতাব যথার্থরূপে নাযিল করেছি। অতএব, আপনি নিষ্ঠার সাথে আল্লাহর এবাদত করুন। জেনে রাখুন, নিষ্ঠাপূর্ণ এবাদত আল্লাহরই নিমিত্ত।}••
[সূরা: আয যুমার, আয়াত: ২- ৩]
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে পরিপূর্ণ ইখলাসের সাথে আল্লাহর ইবাদত এবং সকল কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার তাওফীক দান করুন ।
লেখিকা : ইসলামী প্রাবন্ধিক
