কয়েকদিন আগে পালিত হয়েছে ঈদুল আজহা। সবাই একই ধাঁচে রান্না করা গরুর গোস্ত খেয়ে বিরক্ত। মুখ ভিন্ন কিছু পেতে চাইছে। ভিন্ন স্বাদ চাচ্ছে। এ সময় গরুর গোস্ত পাতে দেখলে খুশি হন না মেহমানরা। আবার মেহমানদের তো শাক, ভর্তা, ডাল দেয়া যায় না। তাদের জন্য চাই বিশেষ কিছু। বাজারে এখন কাঁঠাল অত্যন্ত সহজলভ্য। কাঁঠালের বিচি দিয়ে সাধারণত ভর্তা, ভাজি খেয়ে থাকেন অনেকেই। কাঁঠালের বিচি দিয়ে গরুর মাংস খেতে খুবই সুস্বাদু এবং তৈরি করাও বেশ সহজ।
উপকরণ: গরুর মাংস, মাঝারি সাইজের কাঁচা কাঁঠাল, এক কাপ পিঁয়াজ কুচি, ২ চামচ আদা ও রসুন বাটা, পরিমাণ মতো কাঁচামরিচ, গরম মসল, ১ চামচ হলুদের গুঁড়া, ২ চামচ মরিচের গুঁড়া, আধা চা-চামচ জিরা গুঁড়া, আধা চা চামচ ধনিয়া গুঁড়া, আধা চা চামচ গরম মসলা গুঁড়া, স্বাদ মতো লবণ এবং পরিমাণ মতো তেল দিতে হবে।
প্রাণালী: প্রথমে কাঁঠালের কোয়াগুলো ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিতে হবে। কাঁঠালের বিচি কোয়া থেকে আলাদা করে খোসা ছাড়াতে হবে। বিচিগুলোও ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এরপর তা ভালোভাবে ধুয়ে গরম পানিতে অল্প আঁচে ৩ থেকে ৪ মিনিট ভাব দিয়ে নিতে হবে। এরপর গরুর মাংস ছোট ছোট টুকরা করে নিতে হবে। এবার একটা কড়াইয়ে তেল দিয়ে গরম করে নিতে হবে। এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা আঁচে ভেঁজে তার মধ্যে গরম মসলা, তেজপাতা, আদা-রসুন বাটা, জিরা বাটা, স্বাদমতো লবণ, পরিমাণ মতো হলুদ গুঁড়া, ধনিয়ার গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া দিয়ে ২ থেকে ৩ মিনিট কষিয়ে নিতে হবে।
এরপর ছোট ছোট টুকরা করা আগে থেকেই ধুয়ে রাখা মাংসগুলো কড়াইয়ে দিয়ে মিশিয়ে নিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। এভাবে মাংসগুলো ভালোভাবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট কষিয়ে নিতে হবে। মাংসগুলো ভালোভাবে সেদ্ধ হলে ভাব দিয়ে কেটে রাখা কাঁঠালের টুকরোগুলো দিয়ে আবার ঢেকে দিতে হবে। কিছুক্ষন পর ঢাকনা খুলে নেড়ে দিতে হবে। এবার ৫ থেকে ৭ মিনিট এভাবে অল্প আঁচে রাখতে হবে, খেয়াল রাখতে হবে কড়াইয়ের নিচে যেনো লেগে না যায়। হয়ে আসলে জিরা ভেজে গুঁড়া করে দিতে হবে। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

জন্ম কুমিল্লায়। আব্দুল্লাহেল মুহিত ও আঞ্জুমান নাহারের বড় ছেলে। কুমিল্লার জেলার দেবিদ্বার উপজেলার দুয়ারিয়া গ্রামে বাড়ি। গাছ-গাছালির ছায়ায়, লতাগুল্মের সাথে বড় হওয়া। পাখি ও ফড়িংয়ের পেছনে ছুটে আর ছিপ-নাটাই হাতে কেটেছে শৈশব। তবে কৈশোর কেটেছে নাগরিক শহর ঢাকায়। পড়ালেখার হাতেখড়ি মায়ের কাছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় ‘কুমিল্লা পলিটেকনিক্যাল কোয়ার্টার স্কুলে’। চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত নিজ গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে পড়া হয়। পরে পাশের গ্রামের মাদরাসায় পড়া শুরু। পাঠের শেষ হয় ঢাকায়। লেখালেখি শুরু ছড়া-কবিতা দিয়ে, তবে থিতু হওয়া গল্প-উপন্যাসে। অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও কাব্যচর্চা বাদ পড়েনি। ভিন্ন ভিন্ন লিটলম্যাগে লেখা প্রকাশ হলেও বনে-বাদাড়ে কিশোর দল প্রকাশিত প্রথম বই। আওয়ার ইসলাম নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সাব-এডিটর হিসেবে কাজ করা হয় পাঁচ বছর। চলমান সময়ে নতুন কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত সময় পার হচ্ছে।