অফিস মানেই ব্যস্ততা, নানা ধরনের কাজের চাপ। এই ব্যস্ততায় নিজেকে ভালো রাখা বা নিজের দিকে একটু তাকিয়ে দেখার সময়ও হয় না। আর ভালোভাবে কাজ করতে হলে নিজেকেও ভালো রাখতে হবে। অফিসে প্রত্যেকেই নানা চাপ সামলে তবেই টিকে থাকে। আপনাকেও সেই লড়াইয়ে শামিল হতে হবে। অফিসে কাজের যতই চাপ থাকুক, নিজের জন্যও রাখুন কিছুটা সময়।
কাজের মাঝে কিছুটা বিরতি দিন: টানা কাজ করে যাবেন না। মনে রাখবেন, যন্ত্রেরও বিরতির প্রয়োজন হয়। আপনি যদি একটানা কাজ করতে থাকেন তবে একটা সময় বিরক্তি লাগতে শুরু করবে। তখন কাজে মন দেয়া কঠিন হয়ে যাবে। তাই কাজের মাঝে বিরতি নিন। পাঁচ-দশ মিনিটের জন্য কাজ বন্ধ রাখুন। এতে নিজেকে অনেকটাই চাপমুক্ত মনে হবে।
সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক: দিনের বেশির ভাগ সময় অফিসেই কাটে, তাই অফিসকে অন্য একটি পরিবার বললে ভুল হবে না। অফিসের সবার সঙ্গে যতটা সম্ভব ভালো সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করুন। যেকোনো কাজে প্রয়োজন হলে তাদের পরামর্শ নিন। এক্ষেত্রে আপনার কাজটি সহজ হবে এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্কও ভালো হবে। এ ছাড়া কিছুটা সময় অবসর পেলে তাদের সঙ্গে চা-কফি খেতে পারেন। সহকর্মীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকলে নিজেকে ভালো রাখা সহজ হয়ে যাবে।
মাঝে মাঝে ডেস্ক থেকে উঠে একটু হাঁটুন: আপনার নিশ্চয়ই একটানা বসে থেকে কাজ করার অভ্যাস আছে? আসলে কর্মজীবী প্রায় প্রত্যেকেরই এই অভ্যাস আছে। এটি শরীরের জন্য একদমই ভালো নয়, তা কি জানেন? নিজেকে ভালো রাখতে তাই একটানা বসে থাকার অভ্যাস করবেন না। মাঝে মাঝে উঠে মিনিট পাঁচেক হাঁটাহাঁটি করুন। প্রতি এক ঘণ্টায় এভাবে বিরতি নিলে উপকার পাবেন। চাইলে অফিসের বাইরেও একটু হেঁটে আসতে পারেন।
নিশ্বাসের ব্যায়াম করুন: ভাবছেন, নিশ্বাসের ব্যায়াম আবার কী জিনিস। আর এটি কীভাবেই বা কাজ করব! এই ছোট্ট একটি কাজই আপনাকে পুরো দিন সতেজ থাকতে সাহায্য করবে। কাজের ফাঁকে মাত্র পাঁচ মিনিট সময় নিয়ে নিশ্বাসের ব্যায়াম সেরে নিন। সেজন্য প্রথমে মেরুদণ্ড সোজা করে বসে বুক ভরে গভীর নিশ্বাস নিন। এবারে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। পাঁচ মিনিট এই ব্যায়াম করলেই মাথা পরিষ্কার লাগবে অনেকটা।
খাবারের দিকে খেয়াল রাখুন: কাজের চাপ মাথায় নিয়ে খাওয়াদাওয়া করবেন না। খাবার খান নিশ্চিন্ত মনে। এতে খাবার খেতেও ভালো লাগবে, সেইসঙ্গে হজমও ভালো হবে। অনেকে অফিসে থাকাকালীন খাবারের প্রতি সচেতন থাকেন না। কিন্তু যেখানেই থাকুন-না কেন, আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাবারই খেতে হবে। নয়তো অসুস্থ হয়ে পড়ার ভয় থাকে।

জন্ম কুমিল্লায়। আব্দুল্লাহেল মুহিত ও আঞ্জুমান নাহারের বড় ছেলে। কুমিল্লার জেলার দেবিদ্বার উপজেলার দুয়ারিয়া গ্রামে বাড়ি। গাছ-গাছালির ছায়ায়, লতাগুল্মের সাথে বড় হওয়া। পাখি ও ফড়িংয়ের পেছনে ছুটে আর ছিপ-নাটাই হাতে কেটেছে শৈশব। তবে কৈশোর কেটেছে নাগরিক শহর ঢাকায়। পড়ালেখার হাতেখড়ি মায়ের কাছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় ‘কুমিল্লা পলিটেকনিক্যাল কোয়ার্টার স্কুলে’। চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত নিজ গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে পড়া হয়। পরে পাশের গ্রামের মাদরাসায় পড়া শুরু। পাঠের শেষ হয় ঢাকায়। লেখালেখি শুরু ছড়া-কবিতা দিয়ে, তবে থিতু হওয়া গল্প-উপন্যাসে। অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও কাব্যচর্চা বাদ পড়েনি। ভিন্ন ভিন্ন লিটলম্যাগে লেখা প্রকাশ হলেও বনে-বাদাড়ে কিশোর দল প্রকাশিত প্রথম বই। আওয়ার ইসলাম নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সাব-এডিটর হিসেবে কাজ করা হয় পাঁচ বছর। চলমান সময়ে নতুন কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত সময় পার হচ্ছে।