ডেস্ক: বর্তমানে কর্মজগৎ প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। প্রযুক্তি যত উন্নত চ্যালেঞ্জি হচ্ছে কর্মজগৎ। দ্রুত পরিবর্তনশীল ও প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য দক্ষতা বৃদ্ধি খুব বেশি প্রয়োজন। প্রযুক্তি এবং চাকরির বাজার ক্রমাগত বিকশিত হওয়ার কারণে ক্যারিয়ারে উন্নতির জন্য কী গুরুত্বপূর্ণ, তা অনুমান করা বেশ কঠিন। তাই প্রাসঙ্গিক এবং সময়োপযোগী রাখার জন্য প্রতিনিয়ত নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করতে হবে।
নিজের চারপাশে খেয়াল রাখুন: কমফোর্ট জোন ছেড়ে বেরিয়ে আসুন। যদিও নতুন এবং অপ্রত্যাশিত কিছুর জন্য নিজের পরিচিতমণ্ডলের বাইরে বেরিয়ে আসাটা ভীতিকর মনে হতে পারে। তবে এটিই আপনাকে নতুন এবং বড় কোনো সুযোগের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সময়ের সঙ্গে নিজের প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিজের কমফোর্ট জোন ছেড়ে বেরিয়ে আসাটা জরুরি।
প্রযুক্তিগত বিষয়ে থাকুন শীর্ষে: প্রযুক্তিগত বিষয়ে সর্বশেষ আপডেটগুলো সম্পর্কে সব সময় সজাগ থাকাটা ক্যারিয়ারে উন্নতির জন্য আবশ্যকীয়। নিয়মিত টেক ব্লগস, নিউজলেটার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে নজর রাখাটা এ ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া বিভিন্ন টেক কনফারেন্স এবং ইভেন্টে যোগদানও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে প্রযুক্তির জগতের নতুন নতুন আইডিয়া সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হবে, যা ক্যারিয়ারের উন্নয়নের জন্য সহায়ক।
বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন: কর্মক্ষেত্রে অর্থপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলাটা খুব বেশি জরুরি। এটি শুধু কাজের ক্ষেত্রেই সাহায্য করে না, পাশাপাশি মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্যও এটি দরকারি। কর্মক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ ও অর্থপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে দারুণ উপায়টি হলো সবার জন্য নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ একটি পরিবেশ গড়ে তোলা, যাতে সবাই নিজের মতামত নির্দ্বিধায় প্রকাশ করতে পারে। পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ একটি পরিবেশ, এতে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস ও সহানুভূতি থাকে এবং সবাই স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে নিজের কাজ করতে পারে।
অনলাইনে শেখাকে গুরুত্ব দিন: বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে যেকোনো জিনিস শেখার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো অনলাইন। অনলাইনে নতুন কিছু শেখা এখন আগের চেয়েও অনেক বেশি সহজ হয়ে গেছে। এখন ঘরে বসেই নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি খুব সহজে সম্ভব। নিজের আগ্রহ ও পছন্দের বিষয়গুলোর জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কনটেন্ট, ভিডিও ইত্যাদি জিনিস এখন রয়েছে হাতের নাগালেই। তাই নিজেকে দক্ষ করে তোলার মাধ্যমে ক্যারিয়ারে উন্নতি করা এখন আগের চেয়ে অনেক সহজ।
আইডিয়া শেয়ার করুন: নিজের বিভিন্ন আইডিয়া অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন। পারস্পরিক মেলবন্ধন কর্মজীবনে উন্নতির এক অবশ্যম্ভাবী চাবিকাঠি। বিভিন্নভাবে নিজের আইডিয়াগুলো অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করা যেতে পারে। অনলাইন কমিউনিটি ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের আইডিয়াগুলো পরস্পরের সঙ্গে শেয়ার করা যেতে পারে।
এ ছাড়া অন্যদের বিভিন্ন আইডিয়া শোনা এবং তাদের মতামত গ্রহণ করার মাধ্যমেও বিভিন্ন কাজ সহজে করে ফেলা সম্ভব। পারস্পরিক আইডিয়া বিনিময়ের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ে, ফলে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন সহজ হয়।
তথ্য সংগ্রহ করুন সঠিক উৎস থেকে: যেকোনো কাজ সম্পন্ন করার জন্য আমাদের সব সময় নতুন নতুন তথ্যের প্রয়োজন হয়। এই তথ্যগুলো সব সময় নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে গ্রহণ করা খুব বেশি জরুরি। তথ্যের স্বচ্ছতা না থাকলে কোনো প্রকল্পই সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তাই তথ্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। এটি উন্নত ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে বেশ প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। তথ্যের স্বচ্ছতা ব্যক্তির প্রতি কোনো প্রতিষ্ঠানের ভরসা ও নির্ভরতার জায়গা তৈরি করে দেয়। এটি উন্নত ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে সহায়ক।

জন্ম কুমিল্লায়। আব্দুল্লাহেল মুহিত ও আঞ্জুমান নাহারের বড় ছেলে। কুমিল্লার জেলার দেবিদ্বার উপজেলার দুয়ারিয়া গ্রামে বাড়ি। গাছ-গাছালির ছায়ায়, লতাগুল্মের সাথে বড় হওয়া। পাখি ও ফড়িংয়ের পেছনে ছুটে আর ছিপ-নাটাই হাতে কেটেছে শৈশব। তবে কৈশোর কেটেছে নাগরিক শহর ঢাকায়। পড়ালেখার হাতেখড়ি মায়ের কাছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় ‘কুমিল্লা পলিটেকনিক্যাল কোয়ার্টার স্কুলে’। চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত নিজ গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে পড়া হয়। পরে পাশের গ্রামের মাদরাসায় পড়া শুরু। পাঠের শেষ হয় ঢাকায়। লেখালেখি শুরু ছড়া-কবিতা দিয়ে, তবে থিতু হওয়া গল্প-উপন্যাসে। অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও কাব্যচর্চা বাদ পড়েনি। ভিন্ন ভিন্ন লিটলম্যাগে লেখা প্রকাশ হলেও বনে-বাদাড়ে কিশোর দল প্রকাশিত প্রথম বই। আওয়ার ইসলাম নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সাব-এডিটর হিসেবে কাজ করা হয় পাঁচ বছর। চলমান সময়ে নতুন কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত সময় পার হচ্ছে।