ডেস্ক:
চটজলদি কিছু বানাতে চাইলে ডিমই ভরসা! সারা দিন ডিমের এত রকম পদ রান্না হয়। সাধারণত সবাই ডিমের খোসা ফেলে দেন। কিন্তু ডিমের খোসা দিয়ে নানা ধরনের কাজ করা যায়। আজ সে সম্পকেই জানব।
এক. বাড়িতে বাগান রয়েছে? সাধের গাছগুলির পরিচর্যায় ডিমের খোসা ব্যবহার করতে পারেন। ডিমের খোসা গুঁড়ো করে তা গাছের মাটিতে ছড়িয়ে দিন। এটি গাছকে পোকামাকড়ের হাত থেকেও রক্ষা করবে। টমেটো হোক কিংবা মরিচ গাছের গোড়ায় এই গুঁড়ো ছড়িয়ে দিলে ফলন ভাল হয়।
দুই. ভুলবশত রান্না করার সময়ে কড়াই পুড়ে যায় অনেক সময়ে। পোড়া কড়াইয়ের জেল্লা ফেরাতে ডিমের খোসা কাজে আসে। ডিমের খোসাগুলি গুঁড়ো করে নিন। এ বার ওই পোড়া পাত্রের মধ্যে খোসার গুঁড়ো, লবণ এবং পানি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। পানি ফুটে উঠলে সেটা ফেলে দিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন পোড়া দাগ সহজেই উঠে গিয়েছে।
তিন. ত্বকের পরিচর্যাতেও ডিমের খোসা কাজে আসে। ডিমের খোসা গুঁড়ো করে তাতে ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে নিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে উষ্ণ পানি দিয়ে হালকা হাতে ঘষে তুলে নিন। এতে ত্বক কোমল হবে। মুখের মৃত কোষগুলিও দূর হবে।
চার. পাখিদের খাবার হিসাবেও ডিমের খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে বারান্দায় কিংবা ছাদে একটি পাত্রে রেখে দিতে পারেন।
পাঁচ. ঘরের অন্দরসজ্জার কাজেও এই খোসার ব্যবহার করতে পারেন। ডিমের খোসা দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন মোমদানি। সাদা খোলসে স্প্রে রং ব্যবহার করে বানিয়ে ফেলতে পারেন ঘর সাজানোর নানা সামগ্রী।

জন্ম কুমিল্লায়। আব্দুল্লাহেল মুহিত ও আঞ্জুমান নাহারের বড় ছেলে। কুমিল্লার জেলার দেবিদ্বার উপজেলার দুয়ারিয়া গ্রামে বাড়ি। গাছ-গাছালির ছায়ায়, লতাগুল্মের সাথে বড় হওয়া। পাখি ও ফড়িংয়ের পেছনে ছুটে আর ছিপ-নাটাই হাতে কেটেছে শৈশব। তবে কৈশোর কেটেছে নাগরিক শহর ঢাকায়। পড়ালেখার হাতেখড়ি মায়ের কাছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় ‘কুমিল্লা পলিটেকনিক্যাল কোয়ার্টার স্কুলে’। চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত নিজ গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে পড়া হয়। পরে পাশের গ্রামের মাদরাসায় পড়া শুরু। পাঠের শেষ হয় ঢাকায়। লেখালেখি শুরু ছড়া-কবিতা দিয়ে, তবে থিতু হওয়া গল্প-উপন্যাসে। অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও কাব্যচর্চা বাদ পড়েনি। ভিন্ন ভিন্ন লিটলম্যাগে লেখা প্রকাশ হলেও বনে-বাদাড়ে কিশোর দল প্রকাশিত প্রথম বই। আওয়ার ইসলাম নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সাব-এডিটর হিসেবে কাজ করা হয় পাঁচ বছর। চলমান সময়ে নতুন কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত সময় পার হচ্ছে।