তপ্ত আবহাওয়ায় শরীর শীতল রাখতে গ্রীষ্মের বিভিন্ন ফলের জুড়ি নেই। এর মধ্যে অন্যতম তালের শাঁস। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন, ফাইবার এবং খনিজ উপাদান মেলে এতে। এছাড়া তালশাঁসের বেশির ভাগ অংশই জলীয়। ফলে শরীর দ্রুত পানি হারালে তা পূরণ করতে সহায়তা করে তালশাঁস।
ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য ঠিক রাখে: উচ্চমাত্রায় সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম মেলে তালের শাঁসে, যা শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। ফলে গরমের ক্লান্তি দূর হয়।
পানিশূন্যতা রোধ করে: তালশাঁসের প্রায় পুরোটাই পানি। গরমে শরীরের বাড়তি পানির চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে এই ফল। তাই পানি ও পানি জাতীয় খাবারের পাশাপাশি সুমিষ্ট এই ফল খান গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে।
লিভার ভালো রাখে: কচি তালের শাঁস লিভারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এটি লিভার থেকে ক্ষতিকর ও দূষিত পদার্থ বের করে দেয়।
রক্তশূন্যতা দূর করে: আয়রন পাওয়া যায় এই ফলে। নিয়মিত খেলে তাই দূর হয়ে অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতার মতো সমস্যা।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমের গণ্ডগোল দূর করতে বেশ কার্যকরী তালশাঁস। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এই ফল।
আরও কিছু উপকারিতা
এক. তালশাঁসে রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করতে সাহায্য করে।
দুই. শরীরের জন্য উপকারী ভিটামিন সি ও বি কমপ্লেক্স মেলে এতে।
তিন. ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, চুল পড়া ইত্যাদি রোধ করতে সাহায্য করে।
চার. তালের শাঁসে থাকা ক্যালসিয়াম হাঁড় গঠনে দারুণ ভূমিকা রাখে।
পাঁচ. তালশাঁস শরীরের কোষের ক্ষয় প্রতিরোধ করে।

জন্ম কুমিল্লায়। নিউজ পোর্টাল আওয়ার ইসলামে সাব-এডিটর হিসেবে কাজ করেছি পাঁচ বছর। চলমান সময়ে নতুন কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত সময় পার হচ্ছে।