বর্তমান সময়ে খুঁজতে গেলে খুব কম সংখ্যক ক্ষেত্রই খুঁজে পাওয়া যাবে যেখানে কম্পিউটারের ব্যবহার হয় না। সারা বিশ্বে কাজ করার যত ধরণের ক্ষেত্র আছে তার বেশীরভাগই কম্পিউটার ব্যবহার করে সম্পন্ন করতে হয়। এমন অনেক কাজ আছে যে কাজগুলো কম্পিউটারের সাহায্য ছাড়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না। আবার কিছু কাজ আছে যেগুলো কম্পিউটারের সাহায্য ছাড়াও সম্পন্ন করা যায়। কিন্তু সেক্ষেত্রে অনেক সময় এবং জনবলের প্রয়োজন হয়।
কম্পিউটার ব্যবহার করে কি কি কাজ করা যায়-
- অফিসিয়াল ডকুমেন্টস, রিপোর্ট তৈরী করা
- ডাটা এন্ট্রি করা
- পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন তৈরী করা
- মাইক্রোসফট এক্সেলে হিসাব সংক্রান্ত কাজ করা
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ওয়েব ডিজাইন
- ভিডিও এডিটিং
- ফটো এডিটিং
- আউটসোর্সিং
- শিক্ষা সেবা
- চিকিৎসা সেবা
- ভ্রমন সেবা
- তথ্য সংগ্রহ
- অনলাইন সংবাদ
- ব্যাংক পরিচালনা
- বই প্রকাশনা
- গবেষণা
ডাটা এন্ট্রি: বিভিন্ন অফিসে বা বিভিন্ন প্রজেক্টের অনেক ধরণের ডাটা থাকে। যেগুলো কম্পিউটারে লিপিবদ্ধ করতে হয়। যেমন বিভিন্ন ধরণের ক্লাব/সমিতি বা এই ধরণের অনেক সংস্থা আছে যেখানে অনেক সদস্য থাকে, সেই সদস্যদের কিছু ডাটা ক্লাব/সমিতি বা এই ধরণের প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করে রাখতে হয়। আবার আমাদের দেশে যে আদম শুমারী হয় তাদের ডাটা অথবা ভোটার লিষ্ট ইত্যাদি কম্পিউটারে এন্ট্রি দিতে হয়। এই এন্ট্রিগুলোকেই বলা হয় ডাটা এন্ট্রি।
হাতে-কলমে এই এন্ট্রিগুলো করতে গেলে অনেক ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর কম্পিউটারে এন্ট্রি দেওয়ার সময় ভুল হলে আবার সংশোধন করা যায়।
প্রেজেন্টেশন তৈরী ও উপস্থাপন: নতুন কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পূর্বে, সেই প্রকল্পের মূল পরিকল্পনা/ভিউ/পদক্ষেপ বা প্রকল্পের অগ্রগতি ইত্যাদি বিষয় প্রয়োজনীয় ব্যক্তি বা ক্লায়েন্ট এর নিকট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হয়। যা মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে খুব সহজেই উপস্থাপন করা যায়।
হিসাব সংক্রান্ত কাজ: মাইক্রোসফট এক্সেল এমন একটি প্রোগ্রাম বা এর ব্যাপকতা এতো বেশী, যার সাহায্যে হিসাব-নিকাশ সংক্রান্ত অনেক জটিল কাজ খুব সহজেই সমাধান করা যায়। যেমন- বেতন শীট, এটেন্ডেন্ট শীট তৈরী; একাউন্টস্, এডমিন এবং এইচআর সেকশন পরিচালনা সহ বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করতে মাইক্রোসফট এক্সেলের কাজ লাগে। উক্ত কাজগুলো যদি হাতে-কলমে করা হতো, তবে অনেক ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকতো এবং সেই সাথে অনেক সময়ও লেগে যেতো। মাইক্রোসফট এক্সেল প্রোগ্রামে অনেক মজার মজার ফাংশন রয়েছে যেগুলোর সাহায্য নিয়ে আপনি (কোন কোন ক্ষেত্রে) পুরো এক মাসের কাজ একদিনে শেষ করতে সক্ষম হবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন: আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে ডিজাইন শব্দটি ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে রয়েছে। আমাদের চারপাশে ডিজাইন ছড়িয়ে আছে। ডিজাইনের ব্যবহার নেই এমন জিনিস খুঁজে পাওয়া কঠিন। তবে এ সকল ডিজাইন বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে তৈরী করা যায়। যেমন-
০১. গ্রাফিক্স ডিজাইন
০২. আর্কিটেকচারাল ডিজাইন
০৩. ওয়েব ডিজাইন
গ্রাফিক্স ডিজাইন এগুলির মধ্যে অন্যতম। ডিজাইন জগতে গ্রাফিক্স ডিজাইন অনেক বড় সেক্টর। এর পরিধিও ব্যাপক। গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমেই বেশিরভাগ ডিজাইন করা হয়। গ্রাফিক্স ডিজাইন করার কিছু মাধ্যম হলো-
০১. এডোবি ফটোশপ
০২. এডোবি ইলাস্ট্রাটর
০৩. এডোবি ইনডিজাইন ইত্যাদি
গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে যেসব কাজ করা যায়
ভিজিটিং কার্ড, ক্যাশ মেমো ডিজাইন, প্যাড/লেটার হেড ডিজাইন, ফ্লাইয়ার ডিজাইন, ব্রশিউর ডিজাইন, লিফলেট ডিজাইন, বিলবোর্ড ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, পোস্টার ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, প্যাকেজিং ডিজাইন, ফ্যাশন ডিজাইন, বুটিক, ক্যালেন্ডার ডিজাইন, বুক, বুক কভার ডিজাইন, গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ডিজাইন ইত্যাদি।
বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখার জন্য ইউটিউবে বাংলায় অনেক টিউটরিয়াল রয়েছে। ইউটিউব থেকে সহজেই গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারবেন।
ওয়েব ডিজাইন
এটি অনলাইন ডিজাইনের অন্যতম একটি ক্ষেত্র। দেশে-বিদেশের স্ট্যান্ডার্ড মানের প্রত্যেকটি কোম্পানীর ওয়েবসাইট আছে। যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোম্পানীগুলো তাদের কোম্পানীর বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ বা প্রচারণা করে থাকে। খুব সহজেই কোম্পানীগুলো তাদের কোম্পানীর মার্কেটিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন তথ্য আন্তর্জাতিকভাবে টার্গেটেড অডিয়েন্সের নিকট পৌঁছে থাকে। ওয়েবসাইট সংক্রান্ত এ সকল কাজ পরিচালনার জন্য কম্পিউটারের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
ভিডিও এডিটিং
ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমেও প্রচুর পরিমানে ইনকাম করা সম্ভব। এর মাধ্যমেও আপনি দুইভাবে ইনকাম করতে পারবেন।
০১. লোকাল
০২. অনলাইন
নাটক, সিনেমা, টিভি সংবাদ, ইউটিউব, ফেসবুক ইত্যাদি সহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে যে সকল ভিডিও প্রকাশ করা হয় সেই ভিডিওগুলোতে প্রচুর এডিটিং করতে হয়। বিশেষ করে বর্তমানে ইউটিউব, ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে প্রচুর পরিমানে ইনকাম করা যায়। ভিডিওটি ইউনিক করার জন্য অনেক কিছু এডিটিং করতে হয়। ভিডিও এডিটিং এর কাজ শিখে লোকাল এবং অনলাইন থেকে সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।
ফটো এডিটিং: শিক্ষা জীবন থেকে শুরু করে চাকরি জীবন সহ জাতীয়/আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কাজের জন্য ছবির ব্যবহার বাধ্যতামূলক। এই ছবি প্রিন্ট করার পূর্বে অনেক এডিটিং করতে হয়। এছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, বিভিন্ন পোষ্টার, ব্যানার, ম্যাগাজিন, ব্রশিউর ইত্যাদিতে ছবির ব্যবহার করা জরুরী। এই ছবিগুলোকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য ফটো এডিটিং করতে হয়। ফটো এডিটিং শিখে লোকাল এবং অনলাইনে প্রচুর পরিমানে ইনকামের সুযোগ রয়েছে।
শিক্ষার মান উন্নত করা: শিক্ষার মান উন্নত করার লক্ষ্যে কম্পিউটারের অনেক ভূমিকা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা আজ কম্পিউটার ব্যবহার করে শিক্ষা বিষয়ক অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অনলাইন থেকে খুব সহজেই সংগ্রহ করছে। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (অনলাইন) ভর্তি, এবং শিক্ষা বিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার সময়সূচী/রুটিন, পরীক্ষার রেজাল্ট, পাসের হার সহ আরও অনেক তথ্য সংগ্রহ করছে। কম্পিউটার এর মাধ্যমে এ কাজগুলো খুব সহজেই করা যাচ্ছে।
চিকিৎসা: উন্নত চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনেক অত্যাধুনিক মেশিনের ব্যবহার করা হয়। যার বেশিরভাগই কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে। রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রেও কম্পিউটারের ভূমিকা রয়েছে। এছাড়াও ষ্ট্যান্ডার্ড মানের ক্লিনিক বা হাসপাতালগুলোতে রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য লিপিবদ্ধ, হাসপাতালের বিল, ডাক্তারের ফিস ইত্যাদি কম্পিউটারের মাধ্যমে অনলাইনে এন্ট্রি করা হয়। তথ্যগুলো কম্পিউটারে এন্ট্রি করার পর প্রিন্ট করে প্রত্যেক রোগীকে দেওয়া হয়। যে প্রিন্টিং কপি হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় দেখিয়ে রোগীকে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়। চিকিৎসা সংক্রান্ত এ সকল কাজে কম্পিউটার অনেক সহায়ক।
আউটসোর্সিং: কারো অধীনে না থেকে বিভিন্ন সোর্স থেকে কাজ সংগ্রহ করে স্বাধীনভাবে সার্ভিস দেওয়ার মাধ্যমে ইনকাম করাকে আউটসোর্সিং বলা হয়। আউটসোর্সিং এর ক্ষেত্র আবার দুইটি।
০১. লোকাল/অফলাইন আউটসোর্সিং
০২. অনলাইন আউটসোর্সিং
লোকাল/অফলাইন আউটসোর্সিং
আমাদের দেশের বিভিন্ন কোম্পানীতে এমন কিছু কাজ করানোর প্রয়োজন হয়, যেগুলি করার জন্য কোম্পানীতে নির্ধারিত কোন জনবল থাকে না। এই কাজগুলির প্রয়োজনীয়তা হঠাৎ করে দেখা দেয়। এই কাজগুলি করানোর জন্য যদি কোন আলাদা জনবল নিয়োগ দেওয়া হলে কোম্পানীর খরচ অনেক বেড়ে যায়। যে কারণে উক্ত কাজগুলি চুক্তিভিত্তিক বাইরের কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে করানো হয়। এতে করে যে কোম্পানী কাজ করায় এবং যে ব্যক্তি বা কোম্পানী কাজ করে উভয়ই লাভবান হয়। এই পদ্ধিতিকেই লোকাল/অফলাইন আউটসোর্সিং বলা হয়।
অনলাইন আউটসোর্সিং
নিজের কর্মস্থলে বসে অনলাইনের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ব্যক্তি বা কোম্পানীর চাহিদা মোতাবেক কিছু কাজ করার মাধ্যমে ইনকাম করাকে অনলাইন আউটসোর্সিং বলে। এটা বিশাল একটি জগৎ। এর পরিধি বা ক্ষেত্র ব্যাপক।
আউটসোর্সিং করতে হলে কিছু স্কিলপূর্ণ কাজ শিখতে হবে। যার মাধ্যমে প্রচুর পরিমানে ইনকাম করার সম্ভাবনা রয়েছে। কাজ শিখা এবং সে অনুযায়ী কাজ করার জন্য কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব অনেক বেশি। এ ধরণের কাজগুলো করার জন্য অবশ্যই আপনার কম্পিউটার থাকতে হবে এবং কম্পিউটার পরিচালনায় পারদর্শী হতে হবে।
ভ্রমন: দেশের দূরবর্তী যে কোন স্থানে ভ্রমনের জন্য বেশীরভাগই অনলাইন সেবা চালু হয়েছে। যেমন- বিমান, ট্রেন এবং হাইওয়েতে চলাচলকারী বেশীরভাগ বাস কর্তৃপক্ষই অনলাইনে টিকেট ব্যবস্থা চালু করেছে। এছাড়া বিদেশে ভ্রমণ করতে গেলে তো অবশ্যই অনলাইন ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই হবে। যেমন- পাসপোর্ট, ভিসা, বিমানের টিকেট ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনলাইন সেবা গ্রহণ করা ছাড়া বিকল্প ব্যবস্থা নেই।
তথ্য সংগ্রহ: আগে আমাদের কোন তথ্যের প্রয়োজন হলে, আমাদের আশে-পাশের জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাহায্য গ্রহণ করতাম। সেক্ষেত্রে অনেক সময় লাগতো এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যেতো না। কিন্তু বর্তমানে যে কোন তথ্য সংগ্রহ করার জন্য আমরা গুগল, ইউটিউব, উইকিপিডিয়াসহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে খুঁজে দেখি। খুব সহজেই আমরা আমাদের কাঙ্খিত তথ্য খুঁজে বের করি। শুধুমাত্র তথ্য সংগ্রহ করাই নয়; বরং আপনার যে কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা আর্টিকেল প্রচারও করতে পারবেন। তথ্যবহুল বিভিন্ন আর্টিকেল লিখে অনলাইনে প্রচারের মাধ্যমেও প্রচুর পরিমানে ইনকাম করা সম্ভব। এ সকল তথ্য সংগ্রহ বা প্রচারণার কাজ আমরা কম্পিউটারের মাধ্যমে খুব সহজেই করতে পারি। বর্তমানে স্মার্টফোন দিয়েও এ সকল কাজ করা সম্ভব।
অনলাইন সংবাদ: অনলাইনে সংবাদ প্রচারণার ক্ষেত্রে কম্পিউটার এর বিকল্প কিছুই চিন্তা করা যায় না। সংবাদ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে তথ্যগুলো কম্পিউটারে কম্পোজ, ছবি এডিটিং, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি করার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমের ওয়েবসাইট বা চ্যানেলে আপলোড করে প্রচার করতে হয়। অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদ এবং বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত সংবাদের মাধ্যমে খুব সহজেই আমরা বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন খবর জানতে পারি। কম্পিউটার এর সাহায্য নিয়ে আমরা এ কাজগুলো খুব সহজেই করতে পারি।
ব্যাংক পরিচালনা: বহু আগে থেকেই মানুষের অর্থ-সম্পদের নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংকিং সেবা চালু হয়েছে। বর্তমানে ব্যাংকিং সেবার প্রভাব এতো বেশি বিস্তার লাভ করেছে যে, বেশিরভাগ আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রেই এ সকল ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে হচ্ছে। সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে তো লেনদেন হচ্ছেই, এছাড়াও কিছু কিছু ব্যাংক লেনদেনকে আরও সহজতর করার জন্য কিছু পদ্ধতি চালু করেছে। যেমন- বিকাশ, নগদ, রকেট, ইউক্যাশ ইত্যাদি
এগুলোর মাধ্যমে মানুষ খুব সহজেই দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নির্দিধায় লেনদেন করছে। ব্যাংকের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের জন্য প্রত্যেক গ্রাহককে ব্যাংকে একটি একাউন্ট খুলতে হয়। পরবর্তীতে গ্রাহক তাদের সুবিধামত উক্ত একাউন্টে অর্থ জমা দেওয়া বা একাউন্ট থেকে অর্থ উত্তোলন করা অথবা অন্য একাউন্টে ব্যালেন্স ট্রান্সফার করতে পারবেন। এ সকল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কম্পিটারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কম্পিউটার ছাড়া ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনা করা কোনভাবেই সম্ভব নয়।
বই প্রকাশনা: পৃথিবীতে যে কত লক্ষ কোটি বই রয়েছে তার সঠিক কোন হিসাব নেই। বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন ভাষায় অসংখ্য বই পৃথিবীতে রচিত হয়েছে। সকল বই প্রথমে কম্পিউটারে কম্পোজ করা হয়, তারপর কিছু ডিজাইনের কাজ করার পর, কোন প্রকাশনী থেকে প্রকাশ করা হয়। বর্তমানে হাতে লিখে বই প্রকাশ করার কথা কল্পনাও করা যায় না। বই প্রকাশনার ক্ষেত্রে কম্পিউটারের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
বর্তমানে অনলাইনে বিভিন্ন এ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজে বই পড়া যায়। বিভিন্ন ধরণের বই অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে বা সরাসরি অনলাইনে পড়া যায়।
গবেষণার কাজ: গবেষকরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করে থাকেন। গবেষণা করার মাধ্যমে তারা বিভিন্ন জিনিষ আবিস্কার করে থাকেন। এই গবেষণামুলক কাজের জন্য অনেক তথ্যের প্রয়োজন হয়। যে তথ্যগুলো বর্তমানে একজন গবেষক অনলাইন থেকে খুব সহজেই সংগ্রহ করতে পারেন। এ সকল তথ্য সংগ্রহ করার জন্য কম্পিউটারের গুরুত্ব অনেক বেশী।
উপসংহার
কম্পিউটারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিস্তারিত লিখতে গেলে একটি বই লিখেও শেষ করা যাবে না। ছোট করে বললে, আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে কম্পিউটারের ব্যবহার। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে কম্পিউটার শিখতে হবে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায়ও কম্পিউটার গুরুত্বের সাথে পড়ানো হয়।

জন্ম কুমিল্লায়। আব্দুল্লাহেল মুহিত ও আঞ্জুমান নাহারের বড় ছেলে। কুমিল্লার জেলার দেবিদ্বার উপজেলার দুয়ারিয়া গ্রামে বাড়ি। গাছ-গাছালির ছায়ায়, লতাগুল্মের সাথে বড় হওয়া। পাখি ও ফড়িংয়ের পেছনে ছুটে আর ছিপ-নাটাই হাতে কেটেছে শৈশব। তবে কৈশোর কেটেছে নাগরিক শহর ঢাকায়। পড়ালেখার হাতেখড়ি মায়ের কাছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় ‘কুমিল্লা পলিটেকনিক্যাল কোয়ার্টার স্কুলে’। চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত নিজ গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে পড়া হয়। পরে পাশের গ্রামের মাদরাসায় পড়া শুরু। পাঠের শেষ হয় ঢাকায়। লেখালেখি শুরু ছড়া-কবিতা দিয়ে, তবে থিতু হওয়া গল্প-উপন্যাসে। অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও কাব্যচর্চা বাদ পড়েনি। ভিন্ন ভিন্ন লিটলম্যাগে লেখা প্রকাশ হলেও বনে-বাদাড়ে কিশোর দল প্রকাশিত প্রথম বই। আওয়ার ইসলাম নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সাব-এডিটর হিসেবে কাজ করা হয় পাঁচ বছর। চলমান সময়ে নতুন কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত সময় পার হচ্ছে।