দৈহিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য ঘুম অপরিহার্য। ঘুম ঠিকমতো না হলে বহু সমস্যা শরীর ও মনে বাসা বাঁধে। আসলে ঘুমের ভেতর শরীর বহু কাজ সেরে নেয়। এক্ষেত্রে মস্তিষ্ক নিজের অপ্রয়োজনীয় তথ্য রিসাইকেল বিনে ফেলে দেয়। দরকারি তথ্য গচ্ছিত করে রাখে। এছাড়া শরীর নিজেকে সারিয়ে ফেলে। তাই তো ঘুম থেকে উঠলে আমাদের চাঙা লাগে। কাজে মন বসে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুম ঠিকমতো না হলে অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে। হেলথলাইন বলছে, ইনসোমনিয়ার জন্য এই কয়েকটি সমস্যা হওয়া সম্ভব যেমন- স্ট্রোক, অ্যাজমা, কাঁপুনি, ইমিউনিটি কমে যাওয়া, ডায়াবিটিস, ওবেসিটি, হাই ব্লাড প্রেশার, হার্টের অসুখ ইত্যাদি। এ ছাড়াও মানসিক দিক থেকে অবসাদ, উৎকণ্ঠা, বিভ্রান্তি হতে পারে।
আধুনিক গবেষণা বলছে, কিছু খাবার রয়েছে, যা খেলে আপনার রাতের ঘুম ভালো হবে। শরীরে মেলাটোনিন ও কর্টিসল হরমোন নিঃসরণ হয়। ফলে রাতে ভালো ঘুম হয়।
- রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ খেতে পারেন। এতে রাতে ঘুম ভালো হবে। দুধে বিদ্যমান অ্যামাইনো অ্যাসিড ট্রিপটোফ্যান ভালো ঘুমের জন্য সহায়ক।
- ডিমে আছে ভিটামিন ডি। মস্তিষ্কে যে অংশের নিউরন ঘুমাতে সাহায্য করে, ডিমের ভিটামিন ডি সেখানে কাজ করে। ভিটামিন ডির ঘাটতি থাকলে সহজে ঘুম আসে না।
- মিষ্টি আলুকে বলা হয় ‘ঘুমের মাসি’। এতে বিদ্যমান পটাশিয়াম ঘুমাতে সাহায্য করে।
- কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। তাই কলা খেলে রাতে ঘুম ভালো হয়।
- মধু সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন তৈরি করে। নিয়মিত মধু খেলে ভালো ঘুম হয়।
- লেটুস পাতায় বিদ্যমান ল্যাকটুক্যারিয়াম ভালো ঘুমে সহায়তা করে। এই পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে ও সালাদ করেও খেতে পারেন।
- আখরোটেও ট্রিপটোফ্যান রয়েছে। এটি সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত দুটি আখরোট খেতে পারেন।
- কাঠবাদামে বিদ্যমান ম্যাগনেশিয়াম ও ট্রিপটোফ্যান স্নায়ু ও মাংসপেশিকে শান্ত করে। স্নায়ু এবং মাংসপেশি শান্ত হলে ভালো ঘুম হবে।
- সবজির স্যুপ, আপেল, বাদাম, কিশমিশসহ অন্যান্য খাবার স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়মিত খেতে হবে।
- নিয়মিত শরীরচর্চা করলেও মানসিক অবসাদ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখলে ভালো ঘুম হয়।

জন্ম কুমিল্লায়। নিউজ পোর্টাল আওয়ার ইসলামে সাব-এডিটর হিসেবে কাজ করেছি পাঁচ বছর। চলমান সময়ে নতুন কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত সময় পার হচ্ছে।