ডেস্ক: নিম একটি ঔষধি গাছ যার ডাল, পাতা, রস সবই মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বহুবিধ কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। নিম একটি বহুবর্ষজীবী ও চিরহরিৎ বৃক্ষ। কৃমিনাশক হিসেবে নিমের রস খুবই কার্যকরী। নিম পাতা রক্তচাপ কমানো থেকে শুরু করে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ কমাতে সাহায্য করে। জেনে নিন নিমপাতা খাওয়া নিয়ে কি বলছে আয়ুর্বেদ।
নিমপাতা সময় সময় খাওয়া উপকারী। তবে বর্ষাকালে বেশি গুরুত্ব দিয়ে নিমপাতা খাওয়া উচিত। তবে খাবেন খুব কম। কারণ বেশি বেশি নিম পাতা খেলে শরীরে তার খারাপ কিছু প্রভাব পড়তে পারে। জেনে নেওয়া যাক, এই সময়ে নিম খাওয়ার কিছু নিয়ম।
বর্ষাকাল মানেই নানা রোগের প্রকোপ। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিমপাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ উপকারী। তাই এটি বর্ষাকালে নিয়মিত খাওয়া ভালো। নিমপাতার মধ্যে রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যেগুলি নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে দারুণ ভাবে কাজে লাগতে পারে।
কীভাবে খাবেন নিমপাতা
আয়ুর্বেদের মতে, নিম চিনি বা চিনির মিছরির সঙ্গে খেলে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। চাইলে প্রতিদিন একটি করে নিম ক্যাপসুলও নিতে পারেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি নিমপাতা অনেক রোগ নিরাময়েরও ক্ষমতা রাখে। এটি লিভার এবং হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে।
তিতা স্বাদের কারণে অনেকে নিম পাতার রস খেতে চান না তবে আয়ুর্বেদের মতে, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস খাওয়া শুধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না, শারীরিক নানা অসুস্থতাও কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে।
যেভাবে বানাতে পারেন
নিম পাতা ডাল থেকে ছড়িয়ে সিল-পাটায় বেটে মিহি করে নিতে হবে। এরপর ছোট ছোট বড়ি করে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর কাঁচের বোতলে রাখতে পারেন। এটি অনেকদিন পর্যন্ত আপনি এভাবে সংরক্ষণ করতে পারবেন। এর গুণাগুণ ভালো থাকবে। প্রতিদিন কাঁচা পাতা পাওয়া না গেলে এভাবে সেটি সংরক্ষণ করা যাবে।
মনে রাখবেন নিমপাতা প্রচুর পরিমাণে খেলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায়। হজমের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই নিম পাতা অল্প পরিমাণে খান। প্রতিদিন একমুঠা নিমপাতা খাওয়া যথেষ্ট। শারীরীক সমস্যা থাকলে, অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিমপাতা খাবেন। অন্যথায় হিতে বিপরীত হতে পারে।

জন্ম কুমিল্লায়। নিউজ পোর্টাল আওয়ার ইসলামে সাব-এডিটর হিসেবে কাজ করেছি পাঁচ বছর। চলমান সময়ে নতুন কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত সময় পার হচ্ছে।