ডেস্ক: আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা কারণে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। সম্পর্কের টানাপোড়েন, কর্মক্ষেত্রে জটিলতা, পারিবারিক অশান্তি ইত্যাদি। আর কিছু খাবার এসব উদ্বেগকে কমাতে সহায়তা করে। আমরা অনেকে স্বাস্থ্যের যত্ন নিলেও মনের বিষয়ে উদাসীন থাকি। তাই সুস্থ থাকতে হলে মনেরও যত্ন নেয়া উচিত। আর মনের যত্ন নিতে আমাদের কিছু খাবার সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত।
টার্কি কিংবা ট্রিপ্টোফ্যান সমৃদ্ধ খাবার: গবেষকরা বিশ্বাস করেন ট্রিপ্টোফ্যান মানসিক চাপের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কেননা, এই অ্যামিনো অ্যাসিড আপনার মস্তিষ্ককে ভালো অনুভূতি তৈরি করতে পারে।
আমেরিকান ডায়েটিক অ্যাসোসিয়েশন (এখন একাডেমি অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিক্স নামে পরিচিত) এর মুখপাত্র সান ফ্রান্সিসকোর পুষ্টিবিদ ম্যানুয়েল ভিলাকোর্টা আরডি বলেছেন, ‘ট্রিপ্টোফ্যান সেরোটোনিনের একটি অগ্রদূত এবং এটি আপনাকে শান্ত বোধ করতে সহায়তা করে।’
ট্রিপ্টোফ্যান পাওয়া যায় টার্কি, মুরগির মাংস, কলা, দুধ, ওটস, পনির, সয়া, বাদাম, চিনাবাদাম মাখন, তিলের বীজ ইত্যাদি খাবারে।
ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার: গবেষণায় থায়ামিন বা ভিটামিন বি১ সহ ভিটামিন বি এবং আমাদের মুডের মধ্যে সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। বি ভিটামিনের অভাব, যেমন ফলিক অ্যাসিড এবং বি ১২ এর অভাব কিছু মানুষের মধ্যে বিষণ্নতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই উদ্বেগ থেকে বাঁচতে আপনি ভিটামিন বি সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন বা বি ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন।
এ ছাড়া আপনার প্রতিদিনের খাবার তালিকায় এ খাবারগুলো রাখুন- গরুর মাংস, মুরগির মাংস, শাক, কমলা এবং অন্যান্য সাইট্রাস ফল, চাল, বাদাম, ডিম ইত্যাদি।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার: মানসিক অবসাদ দূর করতে বেশি করে ভিটামিন সি-জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করুন। কমলালেবু, গাজর, পালং শাক, বাঁধাকপি, লেটুস পাতা ইত্যাদি খাবারে ভিটামিন সি রয়েছে। এসব খাবার উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ খাবার: ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ খাবার আপনার মুড ঠিক রাখতে সাহায্য করবে। যেমন: স্যামন, টুনা, লেক ট্রাউট, হেরিং, ম্যাকেরেল, অ্যাঙ্কোভিস এবং সার্ডিনের মতো চর্বিযুক্ত মাছ।
গবেষণায় দেখা গেছে, যে রোগীরা তাদের দৈনিক ওষুধের সঙ্গে ওমেগা ৩ গ্রহণ করছেন তাদের তুলনায় যারা নিজে থেকেই ওমেগা ৩ গ্রহণ করছেন তাদের ক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী এটি।
দই ও উচ্চ-প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: প্রোটিন মস্তিষ্কের রাসায়নিক নোরপাইনফ্রাইন এবং ডোপামিনের উৎপাদনকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে। যা সেরোটোনিনের মতো, নিউরোট্রান্সমিটার এবং স্নায়ু কোষের মধ্যে আবেগ বহন করে। প্রোটিনের ভালো উৎসের মধ্যে রয়েছে গ্রীক দই, মাছ, মাংস, পনির, ডিম, বাদাম, মটরশুটি, সয়া এবং মসুর ডাল।
বেরি জাতীয় ফল: বেরি জাতীয় ফল শরীরের জন্য উপকারি। ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি, স্ট্রবেরি, জাম ইত্যাদি খেতে পারেন। এসব ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এ উপাদানগুলো মস্তিষ্কের কোষ সচল ও সজীব রাখে। ফলে উদ্বিগ্নতা কমে।
ডার্ক চকলেট: উদ্বিগ্নতা কমাতে সাহায্য করে ডার্ক চকলেট। এতে রয়েছে এমন কিছু পুষ্টি যৌগ যা মানসিক অবসাদ দূর করে।
বাদাম: কাঠবাদাম, আখরোট, চীনাবাদামে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ম্যাগনেসিয়াম। এ উপাদানগুলো মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে।

জন্ম কুমিল্লায়। আব্দুল্লাহেল মুহিত ও আঞ্জুমান নাহারের বড় ছেলে। কুমিল্লার জেলার দেবিদ্বার উপজেলার দুয়ারিয়া গ্রামে বাড়ি। গাছ-গাছালির ছায়ায়, লতাগুল্মের সাথে বড় হওয়া। পাখি ও ফড়িংয়ের পেছনে ছুটে আর ছিপ-নাটাই হাতে কেটেছে শৈশব। তবে কৈশোর কেটেছে নাগরিক শহর ঢাকায়। পড়ালেখার হাতেখড়ি মায়ের কাছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় ‘কুমিল্লা পলিটেকনিক্যাল কোয়ার্টার স্কুলে’। চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত নিজ গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে পড়া হয়। পরে পাশের গ্রামের মাদরাসায় পড়া শুরু। পাঠের শেষ হয় ঢাকায়। লেখালেখি শুরু ছড়া-কবিতা দিয়ে, তবে থিতু হওয়া গল্প-উপন্যাসে। অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও কাব্যচর্চা বাদ পড়েনি। ভিন্ন ভিন্ন লিটলম্যাগে লেখা প্রকাশ হলেও বনে-বাদাড়ে কিশোর দল প্রকাশিত প্রথম বই। আওয়ার ইসলাম নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সাব-এডিটর হিসেবে কাজ করা হয় পাঁচ বছর। চলমান সময়ে নতুন কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত সময় পার হচ্ছে।