ডেস্ক: শীতে (winter) অনেকেই রুম হিটার (Room heater) ব্যবহার করেন। এটি তাৎক্ষণিক ঘর গরম করে বলে শীতে এর চাহিদা বাড়ে। অধিকাংশ হিটারের ভেতরেই গরম ধাতুর পাত বা সিরামিক কোর থাকে। ঘরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য গরম হাওয়া বের করে এটি।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও এখন শীতকালে রুম হিটার ব্যবহারের প্রচলন বেড়েছে। যারা প্রথমবারের মতো রুম হিটার কিনবেন, তাদের বেশিরভাগই জানেন না কোন কোম্পানির হিটার ভালো হবে ও কম দামের মধ্যে কোনটি ভালো সার্ভিস দেবে।
রুম হিটারের দাম
বর্তমানে বাজারে ভিশন রুম হিটার দাম ১৫০০-৪০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। তাই আপনার যদি বাজেট কম হয় ও কম দামে ভালো মানের একটি রুম হিটার কিনতে চান তাহলে ভিশন হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ।
রুম হিটার ব্যবহারের নিয়ম
এক. রুম হিটার চালু করার পর ঘরের তাপমাত্রা গরম হতে থাকে। ঘর পর্যাপ্ত গরম হলে হিটার বন্ধ করে দিতে হবে।
দুই. রুম হিটারটি শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। ঘরের ফাঁকা অংশে হিটার রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।
তিন.ঘরের দরজা-জানালায় ফাটল কিংবা ছিদ্র থাকলে তা বন্ধ করে তারপর হিটার চালু করুন।
চার. রুম হিটার একটানা ৩-৪ ঘণ্টা চালিয়ে রাখলেই হয়। সব সময় রুম হিটার চালিয়ে রাখলে বিদ্যুৎ বিলও বাড়বে আবার শারীরিক বিভিন্ন সমস্যাতেও ভুগবেন।
অতিরিক্ত রুম হিটার ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক
যে কোনো ইলেকট্রনিক্স পণ্য অধিক পরিমাণে ব্যবহার করলে কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ঠিক তেমনই অতিরিক্ত রুম হিটার ব্যবহারেও শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এক. ঘরের আর্দ্রতা কমে যায় ও ত্বকের শুষ্কতা বাড়ে
দুই. যাদের অ্যালার্জি বা সোরিয়াসিসের সমস্যা আছে তাদের শরীর চুলকাতে পারে
তিন. ভুলেও হিটারের পাশে বসবেন না। অ্যাজমার রোগীরা রুম হিটারের কারণে ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন।
চার. এছাড়া ব্রঙ্কাইটিস ও সাইনাসের রোগীরাও এই যন্ত্রের কারণে সমস্যায় পড়তে পারেন। হিটারের বাতাস এসব রোগীর ফুসফুসে কফ জমাতে শুরু করে।
এ কারণে হাঁচি-কাশি হতে পারে। আবার ফুসফুসে জমে থাকা কফ শুকিয়ে গেলে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হতে পারে।

জন্ম কুমিল্লায়। নিউজ পোর্টাল আওয়ার ইসলামে সাব-এডিটর হিসেবে কাজ করেছি পাঁচ বছর। চলমান সময়ে নতুন কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত সময় পার হচ্ছে।