শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি নিয়ে মা-বাবা সবসময় চিন্তা করে। শারীরিক বৃদ্ধি নিয়ে যতটা চিন্তা করে ততটা চিন্তা করে না মানসিক বিকাশে। কিন্তু শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি শিশুর মানসিক বৃদ্ধিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর জ্ঞান, বুদ্ধি, মেধা— এগুলো নির্ভর করে সঠিক মানসিক বিকাশের উপর। গর্ভাবস্থা থেকে শুরু করে প্রথম পাঁচ বছর শিশুর মস্তিস্ক গঠনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। এসময়ের খ্যাদাভাস তাই নির্ধারণ করতে হবে বুঝে শুনে।
পুষ্টিকর খাবার শিশুর যেসব বিষয়ে প্রভাব ফেলে: বুদ্ধিমত্তা, শেখার ক্ষমতা, মনোযোগ, আচার আচরণ, ঘুম।
শিশুর মস্তিস্ক গঠনের জন্য প্রয়োজন: ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করা, পর্যাপ্ত ফ্যাটি অ্যাসিড, পরিমাণ মতো ভিটামিন ও মিনারেল।
অ্যালার্জিক ফুড শিশুর পুষ্টিতে বাধা দেয়। তাই সেগুলো বাদ দেওয়া উচিত।
যেসব খাবার শিশুর মানসিক বিকাশে সাহায্য করে: ডিম, দুধ এবং দই, শাকসবজি, মাছ, মাংস, বাদাম, ডাল, শস্যজাতীয় খাবার, ফল
এসব খাবার সঠিক পরিমাণে খাওয়ালে প্রোটিন, ভিটামিন বিশেষ করে ফলিক এসিড, বি ৬, ভিটামিন ডি, মিনারেল (জিংক, সেলেনিয়াম) প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন এবং ফাইবার পাওয়া যাবে।
যেসব খাবার খাওয়াবেন না শিশুকে: অতিরিক্ত চিনি, মিষ্টি জাতীয় খাবার, ফাস্ট ফুড, স্বাদলবণ, কেমিক্যাল দেওয়া রঙিন খাবার। শিশুর যদি কোনও খাবারে অ্যালার্জি তাহলে সেটা বাদ দিতে হবে।

জন্ম কুমিল্লায়। আব্দুল্লাহেল মুহিত ও আঞ্জুমান নাহারের বড় ছেলে। কুমিল্লার জেলার দেবিদ্বার উপজেলার দুয়ারিয়া গ্রামে বাড়ি। গাছ-গাছালির ছায়ায়, লতাগুল্মের সাথে বড় হওয়া। পাখি ও ফড়িংয়ের পেছনে ছুটে আর ছিপ-নাটাই হাতে কেটেছে শৈশব। তবে কৈশোর কেটেছে নাগরিক শহর ঢাকায়। পড়ালেখার হাতেখড়ি মায়ের কাছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় ‘কুমিল্লা পলিটেকনিক্যাল কোয়ার্টার স্কুলে’। চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত নিজ গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে পড়া হয়। পরে পাশের গ্রামের মাদরাসায় পড়া শুরু। পাঠের শেষ হয় ঢাকায়। লেখালেখি শুরু ছড়া-কবিতা দিয়ে, তবে থিতু হওয়া গল্প-উপন্যাসে। অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও কাব্যচর্চা বাদ পড়েনি। ভিন্ন ভিন্ন লিটলম্যাগে লেখা প্রকাশ হলেও বনে-বাদাড়ে কিশোর দল প্রকাশিত প্রথম বই। আওয়ার ইসলাম নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সাব-এডিটর হিসেবে কাজ করা হয় পাঁচ বছর। চলমান সময়ে নতুন কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত সময় পার হচ্ছে।