সকালের নাশতায় এখনও অনেকে চিড়া খান। তবে তরুণ প্রজন্মের পছন্দ টোস্ট, ওট্স কিংবা কর্নফ্লেক্স। পুষ্টিবিদরা বলছেন, পুষ্টিগুণের বিচারে ওট্স কিংবা কর্নফ্লেক্সের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে চিড়া। যাদের দুধ খেলে পেটের সমস্যা হয়, তারা যদি চিড়ার সঙ্গে দই খেতে পারেন। এটি আরও উপকারী হবে।
সকালের নাশতায় চিড়া খেলে আরও যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
১। রাতে গুরুপাক খাবার খেলে হজমজনিত সমস্যা হয়, ঘুমের বৗাঘাত ঘটে। সেক্ষেত্রে সকালের নাশতায় পেট ঠান্ডা করতে দই-চিড়া খাওয়া যেতে পারে।
২। ওট্স, কর্নফ্লেক্স, ব্রাউন ব্রেডের মতো খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। যাদের ফাইবার খেলে হজমে সমস্যা হয়, তারা অনায়াসেই চিড়া খেতে পারেন। চিঁড়ায় যে পরিমাণ ফাইবার রয়েছে, তা সহজে হজ, হয়। তাই শিশু থেকে বয়স্ক- সবাই এই খাবারটি খেতে পারেন।
৩। চিড়া প্রক্রিয়াজাত খাবার নয়। এ কারণে এই খাবারের পুষ্টিগুণ অক্ষত থাকে। পাশাপাশি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে চিঁড়া।
৪। দ্রুত মেদ ঝরাতে অনেকেই ভাত, রুটির মতো খাবার খান না। কিন্তু শরীরে শক্তির জোগান দেওয়ার জন্য কার্বোহাইড্রেটের প্রয়োজন পড়ে। সেক্ষেত্রে দই-চিড়ার মতো খাবার খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।
৫। উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে চিকিৎসকরা অনেক ধরনের খাবার খেতে নিষেধ করেন। তবে বহু চিকিৎসকই পথ্য হিসেবে রোগীদের চিঁড়া খাওয়ার পরামর্শ দেন। তাই চিড়া খেলে শরীরে কোনো সমস্যা হয় না। শুধু চিনি বা গুড়ের পরিমাণ কমাতে হবে।
প্রতিদিন চিড়া খাবেন?
কোন কিছুই টানা খাওয়া উচিত নয়। মাঝে মাঝে খাবারে চেঞ্জ আনা উচিত। চিড়া খাওয়া যেমন উপকার, প্রতিদিন চিড়া খেলে কিছু ক্ষতিও হতে পারে। নিয়মিত চিড়া খেলে শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায়। ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেক গুণ। চিড়াতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা রয়েছে। তাছাড়া চিড়াতে ‘ট্রাইগ্লিসারাইড’-এর ঘনত্ব অনেক বেশি। এসব কারণে নিয়মিত চিড়া খেলে বাড়তে পারে ডায়াবেটিসের সমস্যাও।

জন্ম কুমিল্লায়। নিউজ পোর্টাল আওয়ার ইসলামে সাব-এডিটর হিসেবে কাজ করেছি পাঁচ বছর। চলমান সময়ে নতুন কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত সময় পার হচ্ছে।