সকালের নাস্তা আমাদের সারা দিনের শক্তির জোগান দেয়। সকালে কী খাবেন তার উপর অনেকটাই নির্ভর করে দিনটি আপনার কেমন যাবে। কারণ দিনের শুরুর খাবারটা শরীর গঠন ও রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। চিকিৎসকদের মতে, খাদ্যগ্রহণের নিয়ম হওয়া উচিত ‘পিরামিড রুল’ মেনে। দিনের প্রথম খাবার তাই ভারী হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে কোন খাবারটি উপকারী আর কোন খাবারটি ক্ষতিকর তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। অনেকের সকালের খাবারের তালিকায় এমনকিছু থাকে যা পেট ভরালেও শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
এক. সকালে আলাদাভাবে নাস্তা না করে ভাত খেয়েই অফিসে যান অনেকে। কিন্তু এটি আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সকালের প্রথম খাবারেই একগাদা শর্করা শরীরে না প্রবেশ করানোই ভালো। ভাতের বদলে আটার রুটি খান। রুটির থেকে তৈরি হওয়া গ্লাইকোজেন ভাতের তুলনায় দ্রুত গলে। সঙ্গে রাখুন টক দই, ডিম, কম তেলের সব্জি বা চিকেন স্যুপ।
দুই. সকালের নাস্তায় লুচি-পরোটা চলে? এমন অভ্যাস আজই বাদ দিন। ময়দায় ফাইবার যেমন কম থাকে, তেমনই এতে ফ্যাট জমার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। এর বদলে দুধের সঙ্গে ওটস খেতে পারেন। এতে পেটও ভরবে, পুষ্টিগুণও বাড়বে।
তিন. সকালের নাস্তায় টোস্ট আর কফি পছন্দ করেন। কফি বা ময়দার পাউরুটি কোনোটাই শরীরের জন্য খুব একটা উপকারী নয়। বরং পাউরুটি থেকে হজমের নানা সমস্যা ও ফ্যাট বাড়ার ভয় থাকে। একান্তই পাউরুটি খেতে হলে ব্রাউন ব্রেড বেছে নিন। একেবারে কম ফ্যাটযুক্ত মাখন অল্প করে পাউরুটিতে মাখিয়ে খেতে পারেন সপ্তাহে দু-তিন দিন।
চার. মিষ্টি দইয়ের বদলে সাধারণ টক দই যোগ করুন সকালের নাস্তায়। দই শরীরের জন্য উপকারী হলেও চিনি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই মিষ্টি দই না খেয়ে টক দই খান।
পাঁচ. সকালের নাস্তায় ফলের রসের বদলে আস্ত ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। আর একান্তই যদি ফলের রস খেতে হয় তবে বাজারের প্যাকেটজাত ফলের রস না কিনে বাড়িতেই তৈরি করে খান।
ছয়. সকালের নাস্তায় চা-কফি নয়। এমনিতেই সারা রাত পেট খালি রাখার পর সকালের খাবারই প্রথম শরীরে যায়, তাই খালি পেটে চা-কফি এড়িয়ে চলুন।
সম্পর্কিত আর্টিকেল: শর্করা কি, সকালের নাস্তায় কি শর্করা খাবেন?
সকালের নাস্তায় যা খাবেন

জন্ম কুমিল্লায়। আব্দুল্লাহেল মুহিত ও আঞ্জুমান নাহারের বড় ছেলে। কুমিল্লার জেলার দেবিদ্বার উপজেলার দুয়ারিয়া গ্রামে বাড়ি। গাছ-গাছালির ছায়ায়, লতাগুল্মের সাথে বড় হওয়া। পাখি ও ফড়িংয়ের পেছনে ছুটে আর ছিপ-নাটাই হাতে কেটেছে শৈশব। তবে কৈশোর কেটেছে নাগরিক শহর ঢাকায়। পড়ালেখার হাতেখড়ি মায়ের কাছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় ‘কুমিল্লা পলিটেকনিক্যাল কোয়ার্টার স্কুলে’। চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত নিজ গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে পড়া হয়। পরে পাশের গ্রামের মাদরাসায় পড়া শুরু। পাঠের শেষ হয় ঢাকায়। লেখালেখি শুরু ছড়া-কবিতা দিয়ে, তবে থিতু হওয়া গল্প-উপন্যাসে। অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও কাব্যচর্চা বাদ পড়েনি। ভিন্ন ভিন্ন লিটলম্যাগে লেখা প্রকাশ হলেও বনে-বাদাড়ে কিশোর দল প্রকাশিত প্রথম বই। আওয়ার ইসলাম নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সাব-এডিটর হিসেবে কাজ করা হয় পাঁচ বছর। চলমান সময়ে নতুন কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত সময় পার হচ্ছে।