সকালে ঘুম থেকে উঠে যে কাজগুলো করবেন না

ঘুম— দৈনন্দিন কর্মকান্ডের ফাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যখন সচেতন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া স্তিমিত থাকে। ঠিক সময়ে ঘুমানো যেমন গুরুত্বর্পূণ তেমনই সঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠাও গুরুত্বর্পূণ। বিভিন্ন কারণে সকালে ঘুম থেকে উঠা জরুরি। সকালে ঘুম থেকে উঠলে কাজের সময় বেশি পাওয়া যায় আবার স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।

যারা ৯-১০ পর্যন্ত ঘুমায়। তারা দিনের ৩-৪ ঘন্টা কাজে পিছিয়ে যায়। আবার দেরি করে ঘুম থেকে উঠা শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। বলা হয়, সকালটা সুন্দর হলে নাকি পুরো দিনটাও ভালো যায়। আবার সকালের শুরুটা যদি বাজে হয়, তাহলে পুরো দিনটাও খারাপ যেতে পারে। তাই ঘুম থেকে উঠেই এমন কিছু করবেন না, যাতে পুরো দিন নষ্ট হয়।

কী করলে সারা দিন আপনি ফুরফুরে মেজাজে থাকবেন। চলুন সেই কাজগুলো জেনে নেই:

১. ঘুম থেকে ওঠার পর পা সোজা করে, হাত টানটান করে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকুন। এরপর উঠে বসুন। এতে করে আপনি সারাদিন সতেজ থাকবেন। আর যদি ভাঁজ হয়ে ঘুম থেকে ওঠেন, তাহলে সারা দিন ক্লান্ত লাগবে ও ঘুম পাবে।

২. ঘুম ভেঙেই ফোনে ই-মেইল বা মেসেজ চেক করবেন না। এতে আপনার মস্তিষ্কের ওপর চাপ পড়বে। আর খারাপ কোনো মেসেজ থাকলে পুরো দিনটাই খারাপ যাবে।

৩. ঘুম থেকে উঠে বিছানা অগোছালো রেখে যাবেন না। চট করেই বিছানাটা গুছিয়ে ফেলুন। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে গোছানো রুম দেখলে মনটা অনেক ফুরফুরে থাকবে।

৪. ঘুম থেকে উঠেই সবার আগে চা একদম নয়। রাতের খাবারের পর দীর্ঘক্ষণ না খাওয়ার ফলে আমাদের শরীর অ্যাসিডিক হয়ে থাকে। ফলে দুধ-চিনি দেওয়া চা বা কফি আমাদের শরীরকে আরও অ্যাসিডিক করে তোলে। তার বদলে পানি অথবা লেবুপানি পান করতে পারেন।

৫. ঘরে এমনভাবে আলোর ব্যবস্থা করবেন, যেন সকালে সূর্যের আলো ঘরে প্রবেশ করে। ঘুম ভেঙে অন্ধকার দেখলে সকাল হলো কী হলো না, তা নিয়ে দ্বিধায় ভুগবেন।

৬. সকালের নাস্তা না করার অভ্যাস থাকলে এখনই পাল্টে ফেলুন। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সকালের নাস্তা করেন না, তারা স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও অল্পতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করলে শরীর একেবারে চাঙা থাকবে।

৭. অনেকে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে অনেকে জিমে চলে যান, যা একেবারেই উচিত নয়।