মাঝে মাঝে দেখা যায় ঘরের সবচেয়ে ছোট্ট সদস্যটিও ঘুমের মধ্যে নাক ডাকছে। ঘুমের সময়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে, মাঝে মধ্যেই সর্দি-কাশি, খেতে অসুবিধা, গলা শুকিয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে কখনোই অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসক দেখানো উচিত।
এই সমস্যার জন্য দায়ী একটি বিশেষ গ্রন্থি, যার নাম অ্যাডিনয়েড। ইদানীং বহু শিশুই এই গ্রন্থির নানা সমস্যায় ভুগছে। শিশুদের নাকের পেছনে একটু উপরের দিকে থাকে অ্যাডিনয়েড গ্রন্থি। পাঁচ বছর বয়সের পর থেকে এটি একটু একটু করে ছোট হতে থাকে এবং বয়ঃসন্ধির পরে প্রায় মিলিয়ে যায়।
এমনিতে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া বা খাওয়ার সময় এটি নানা রকম ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে শিশুদের রক্ষা করে। কিন্তু কোনও কারণে অ্যাডিনয়েড গ্রন্থি ফুলে উঠলে শিশুরা নানা ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই ঠিক সময় চিকিৎসা না হলে তাদের কথা বলা, শোনা, শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা হয়।
তাই শিশুদের নাক ডাকা বা শ্বাস-প্রশ্বাসে কোন অসুবিধা হলেও সতর্ক থাকা উচিত,
১) শিশুর অ্যাজ়মার সমস্যা শুরু হলে নাক ডাকার মতো উপসর্গ শুরু হয়। তাই এই রকম উপসর্গ দেখলেই আগেভাগে সতর্ক হোন।
২) নাক ডাকার সমস্যা কখনও কখনও অ্যালার্জিরও উপসর্গ হতে পারে। অ্যালার্জির সমস্যা থেকেও নাকের মধ্যে সর্দি জমে গিয়ে নাক বন্ধ হয়ে যায়।
৩) ওজন বেশি হওয়া মানেই শরীরে হাজারটা রোগ বাসা বাঁধবে। অতিরিক্ত বাইরের খাবার খাওয়া, খেলাধুলো না করা, মোবাইলের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতার কারণে ঘাড় ও গলার কাছে ফ্যাট জমতে শুরু করে। তাই নাক ডাকার সমস্যাও বাড়ে। তাই শিশুর ওজনের দিকেও নজর দিন।
৪) স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণেও শিশুদের নাক ডাকার সমস্যা দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে নাক ডাকার পাশাপাশি রাতে ঘাম হওয়া, বিছানায় প্রস্রাব করে দেওয়া, ঘুমানোর সময়ে হাত-পা চালানোর মতো উপসর্গগুলিও প্রকট হয়।
