প্রশ্ন : সুদের টাকা মসজিদে ব্যবহার করা বা অন্য খাতে খরচ করা যাবে কি?
উত্তর : সুদের টাকা মসজিদের কোনো কাজে ব্যবহার করা বা অন্য যেকোনো খাতে ব্যবহার করা হারাম। (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৩০, রদ্দুল মুহতার : ১/৬৫৮, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া : ১৩/৩৭৬)
সুদ শব্দটি উর্দু। এর আরবি প্রতিশব্দ হলো- الرِّبٰوا। অনেকের দৃষ্টিতে রিবা ও সুদ সমার্থবোধক শব্দ। না, ‘রিবা’ শব্দটি আরও ব্যাপক অর্থবোধক। ‘সুদ’ রিবার একাংশ মাত্র। সুদকে ইংরেজিতে বলা হয় ইন্টারেস্ট (interest) বা ইউজারি (usury)। ‘রিবা’র অর্থ হলো- বেশি হওয়া, বৃদ্ধি পাওয়া, অতিরিক্ত, সম্প্রসারণ, মূল থেকে বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।
সুদ কী?
ইসলামি শরিয়তে লেনদেনের ক্ষেত্রে চুক্তির শর্তানুযায়ী শরিয়াহ সম্মত কোনোরূপ বিনিময় ব্যতীত মূলধনের উপর অতিরিক্ত যা কিছু গ্রহণ করা হয়; তাকে সুদ বলে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধের শর্তে কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্য বা অর্থের বিপরীতে পূর্ব নির্ধারিত হারে যে বেশি পরিমাণ পণ্য বা অর্থ আদায় করা হয়, সেটিই ‘সুদ’। হাদিসে এসেছে-
হজরত উবায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, কোনো কর্জ থেকে কোনো ফায়দা নিলে ঐ ফায়দা এক ধরনের রিবা।’ (বায়হাকি)
আবার একই শ্রেণিভুক্ত পণ্যের পারস্পরিক লেনদেনের সময় চুক্তি মোতাবেক অতিরিক্ত যে পরিমাণ পণ্য গ্রহণ করা হয়, তাকেও রিবা বা সুদ বলা হয়। যেমন ধরুন-
আপনার কাছ থেকে কেউ ১০ টাকা ধার নিল, প্রয়োজন শেষে ওই লোকের কাছ থেকে যদি আপনি ১০ টাকার পরিবর্তে ১১ টাকা গ্রহণ করেন তাহলে যে বাড়তি ১ টাকা গ্রহণ করেছেন সেটি-ই সুদ। কিন্তু যদি ১০ টাকা ধার দেয়ার পরে ওই লোকের প্রয়োজন শেষে তার সমপরিমাণের চেয়ে বেশি দামে অন্য কোন পণ্য গ্রহণ করেন তাহলে সেটা সুদ হবে না।
এক কথায় একই জিনিস ধার দিলে তা সমপরিমাণের চেয়ে বৃদ্ধি করে আনা যাবে না, তবে একই পণ্যের পরিবর্তে অন্য কোনো পণ্য বৃদ্ধি করে আনা যাবে।
সুদ কি হারাম?
হ্যাঁ, সুদ হারাম। মহান আল্লাহ তাআলা সুদকে হারাম করেছেন এবং ব্যবসাকে হালাল করেছেন। ব্যবসা-বাণিজ্য করে অর্থ উপার্জন করা সুন্নাহ আর সুদের কারবার করে অর্থ উপার্জন করা সম্পূর্ণ হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেছেন-
‘যারা সুদ খায়, তারা তার ন্যায় (কবর থেকে) উঠবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দেয়। এটা এ জন্য যে, তারা বলে, ব্যবসা তো সুদের মতই। অথচ আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২৭৫)
এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে (সুদের কারবারিকে) পাগল বা উন্মাদ বলেছেন; যারা বলে, ব্যবসা তো সুদের মতোই। যেমন- ‘মানুষকে জিন আক্রমণ করলে যেমন মানুষ জ্ঞানহীন বা উন্মাদ হয়ে যায়; ঠিক তেমনই যারা সুদ গ্রহণ করে তারা শয়তানের স্পর্শের কারণে পাগল বা উন্মাদ হয়ে যায়।’

জন্ম কুমিল্লায়। আব্দুল্লাহেল মুহিত ও আঞ্জুমান নাহারের বড় ছেলে। কুমিল্লার জেলার দেবিদ্বার উপজেলার দুয়ারিয়া গ্রামে বাড়ি। গাছ-গাছালির ছায়ায়, লতাগুল্মের সাথে বড় হওয়া। পাখি ও ফড়িংয়ের পেছনে ছুটে আর ছিপ-নাটাই হাতে কেটেছে শৈশব। তবে কৈশোর কেটেছে নাগরিক শহর ঢাকায়। পড়ালেখার হাতেখড়ি মায়ের কাছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় ‘কুমিল্লা পলিটেকনিক্যাল কোয়ার্টার স্কুলে’। চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত নিজ গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে পড়া হয়। পরে পাশের গ্রামের মাদরাসায় পড়া শুরু। পাঠের শেষ হয় ঢাকায়। লেখালেখি শুরু ছড়া-কবিতা দিয়ে, তবে থিতু হওয়া গল্প-উপন্যাসে। অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও কাব্যচর্চা বাদ পড়েনি। ভিন্ন ভিন্ন লিটলম্যাগে লেখা প্রকাশ হলেও বনে-বাদাড়ে কিশোর দল প্রকাশিত প্রথম বই। আওয়ার ইসলাম নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সাব-এডিটর হিসেবে কাজ করা হয় পাঁচ বছর। চলমান সময়ে নতুন কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত সময় পার হচ্ছে।