বিশুদ্ধ ঘি চেনার ৭ উপায়

ঘি ভারতীয় উপমহাদেশে উদ্ভূত হওয়া পরিশোধিত মাখন। গরম ভাতের সঙ্গে এক চামচ ঘি খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। ঘি শুধু স্বাদে এবং গন্ধে অতুলনীয় নয়, এর স্বাস্থ্যগুণও রয়েছে অনেক। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন, খনিজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর পাশাপাশি শরীরের প্রতিটি পেশি শক্তিশালী করে, মেদ ঝরায়, হাড় মজবুত করে, শরীরের প্রতিটি কোষ সচল রাখে।

বাজারে ঘি এর নামে বিক্রি হয়, ভেজাল পন্য। ভেজাল ঘি-তে পাম ওয়েল বা ডালডা ব্যবহার করা হয়। যা স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। ঘি কেনার আগে দেখতে হবে এটা খাঁটি কিনা। ঘি বিশুদ্ধ ও গুণগতমান সম্পন্ন কিনা, সেটা যাচাই করে নিতে পারেন কয়েকটি কৌশলে।

  • খাঁটি ঘি চমৎকার সুগন্ধযুক্ত। উত্তপ্ত হলে তীব্র হয় এই সুগন্ধ। ঘি খাঁটি না হলে সুগন্ধ থাকে না। এক চামচ ঘি দিন গরম প্যানে। যদি ঘি তাৎক্ষণিকভাবে গলে যায় এবং গাঢ় বাদামি রঙে পরিণত হয়, তবে এটি খাঁটি ঘি। যদি ঘি গলতে সময় নেয় এবং হলদে হয়ে যায়, তবে বুঝবেন ঠকেছেন আপনি।
  • খাঁটি ঘি সাধারণত হালকা সোনালি হলুদ রঙের হয়। ঘি অস্বাভাবিকভাবে উজ্জ্বল দেখালে বা প্রাকৃতিক রঙের অভাব হলে এটি খাঁটি নয়।
  • ঘরের তাপমাত্রায় ঘি মসৃণ ও ক্রিমি টেক্সচারের হবে। ফ্রিজে রাখা হলে এটি কিছুটা শক্ত হয় কিন্তু উত্তপ্ত হলে সহজেই গলে যায়। টেক্সচার আঠালো হলে এটি খাঁটি নয়।
  • খাঁটি ঘি পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ হয়।। প্যানে অল্প পরিমাণে গরম করুন ঘি। খাঁটি ঘিয়ে কোনও দানাদার পদার্থ থাকবে না।
  • খাঁটি ঘি ফ্রিজে রাখলে শক্ত হয়ে যায় কিন্তু ঘরের তাপমাত্রায় তরল থাকে। ঘি যদি রেফ্রিজারেটরেও তরল থেকে যায়, তাহলে এতে তেল বা চর্বি থাকতে পারে।
  • ঘি পরীক্ষা করার আরেকটি কার্যকর উপায় হলো তালুতে নিয়ে পরীক্ষা করা। হাতের তালুতে এক চামচ ঘি রাখুন। সঙ্গে সঙ্গে সেটি গলতে শুরু করলে ঘি খাঁটি সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।
  • একটি গরম পানির পাত্রে ঘিয়ের বয়াম ডুবিয়ে রাখুন। ঘি গলে গেলে ফ্রিজে রেখে দিন। যদি দেখেন ঘিয়ের বয়ামে একই রঙের জমাটবাঁধা ঘি, তবে সেটা খাঁটি। ঘিয়ে অন্যান্য উপাদান মেশানো থাকলে আলাদা আলাদা তেলের আলাদা স্তর থাকবে।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, নিউজ এইটিন